ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগরদের আত্মসমর্পণ শুরুর দেড় ঘন্টা আগেই ভরপুর অনুষ্ঠানস্থল

ইমাম খাইর, মহেশখালী ::
বহল প্রতীক্ষিত জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগরদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান আজ শনিবার সকাল ১১ টায়। মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা পুলিশ।
এজন্য নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল ও স্টেইজ। অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল ১১টায়। ইতোমধ্যে জনতার উপস্থিতিতে বিস্তুৃত প্যান্ডেল ভরপুর। নির্ধারিত সময় না হওয়ায় মঞ্চ খালি থাকলেও শ্রোতাদের প্রথম সারিতে স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তিদের দেখা যাচ্ছে।
অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ থেকে আমাদের সংবাদদাতা হারুনর রশীদ জানিয়েছেন, সকাল ১১টায় আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনে ভরপুর হয়ে গেছে অনুষ্ঠানস্থল। এসেছে আত্মসমর্পণকারীদের স্বজনেরাও। অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। পুরো অনুষ্ঠান ঘিরে এলাকাবাসীর আকাঙ্খা, আবেগের প্রতিফলন ঘটেছে।
জেলা পুলিশের অনুষ্ঠানক্রম অনুযায়ী- সকাল ১১টায় অতিথিদের আসনগ্রহণ, ১১.০৫ টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, ১১.১০ টায় স্বাগত বক্তব্য, ১১.১৫ টায় অতিথিদের ভাষণ, ১২.২০ টায় আত্মসমর্পণ ও ১২.৪৫ টায় প্রধান অতিথির ভাষণ।
ওই অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম, গোালাবারুদসহ ১৭ টি জলদস্যু বাহিনীর প্রধান, ১২ জন অস্ত্র তৈরীর শীর্ষ কারিগরসহ আত্মসমর্পণ করছে ৯৫ জন দাগি আসামী।তাদের প্রত্যেককে দেয়া হবে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান।
ইতোমধ্যে সেফহোম থেকে ৯৫ জন জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগরকে প্রিজন ভ্যানে করে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, গেস্ট অব অনার আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
সভাপতিত্ব করবেন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
এছাড়া কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, মহেশখালীর ইউএনও জামিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ আনোয়ার পাশা, মেয়র মকছুদ মিয়া, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা, ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধরসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
কক্সবাজার জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সক্রিয় জলদস্যু ও অস্ত্র তৈরীর কারিগরদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা উপলক্ষ্যে ‘আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান’টির মধ্যস্থতা করেন আনন্দ টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো ইনচার্জ এমএম আকরাম হোসাইন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর মহেশখালীতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদসহ ৪৩ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে। সেখানে ৫ বাহিনীর ৩৭ জন এমএম আকরাম হোসাইনের মধ্যস্থতায় হয়েছে। তারা প্রতিজন ১ লক্ষ টাকা করে সরকারীভাবে আর্থিক অনুদান পেয়েছে। এরা সাবাই কারামুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। এছাড়া গত ১৬ ফেব্রুয়ারী ইয়াবা ও অস্ত্রসহ টেকনাফে আত্মসমর্পণ করে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি। সেটিও এমএম আকরাম হোসাইন মধ্যস্থতা করেন।

পাঠকের মতামত: